ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ১২ ১৪৩১

বিদ্যালয়ের পুরোটাই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশন।  করোনা মহামারিতে দেড় বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়টির উন্মুক্ত স্থানে বসছে হাট-বাজার।  বর্তমানে বাজার আগের স্থানে স্থান্তরিত হলেও বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ, মাঠের চারপাশ ও বিশাল পুকুরটি ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা মহামারিতে এক বছর যাবৎ বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এখানে।  আর এই সুযোগে মাঠে ও পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে।

আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশনের পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিসসহ কয়েকশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি।  আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে সেখানে বাসবাসকারী ও অফিস করতে আসা লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

আরো পড়ুন:

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে আর.এস.কে.এইচ মডেল ইনস্টিটিউশনের অবস্থান। বিশাল ক্যাম্পাসের এই বিদ্যালয়টি উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।  এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।

করোনা মাহামারির শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিদ্যালয় মাঠের উন্মুক্ত স্থানে হাটবাজার বসানো হয়।  প্রতিদিন বাজার ও সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে এখানে।  অস্থায়ী এই বাজারে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই।  দেড় বছর যাবৎ ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয় ভবনের পেছনে, মাঠে ও পুকুরে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় বাজাররাধানগরের বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, ‘এক বছর আগেও বিদ্যালয়টির পুকুরের স্বচ্ছ জল সবার দৃষ্টি কাড়ত।  এখানে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো ।  এখন সবই স্মৃতি। ’

পথচারী আরিফুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন ময়লার স্তূপ পেরিয়ে চলাচল করতে হয়।  দুর্গন্ধের কারণে নাকে–মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ’

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, ‘বিদ্যালয় ও হাসপাতালের মাঝে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল মাঠ ও ক্লাসের পাশেই আবর্জনার স্তূপ।  অভিভাবকেরা অভিযোগ দিচ্ছেন।  বাজার উঠে গেলেও ময়লা রয়ে গেছে।  ১২ সেপ্টম্বর থেকে বিদ্যালয় খুলছে।  আমরা রাত-দিন কাজ করছি বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।’

শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়