বিদ্যালয়ের পুরোটাই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়
মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশন। করোনা মহামারিতে দেড় বছর যাবৎ এই বিদ্যালয়টির উন্মুক্ত স্থানে বসছে হাট-বাজার। বর্তমানে বাজার আগের স্থানে স্থান্তরিত হলেও বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ, মাঠের চারপাশ ও বিশাল পুকুরটি ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা মহামারিতে এক বছর যাবৎ বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এখানে। আর এই সুযোগে মাঠে ও পুকুরে ময়লা-আবর্জনা ফলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে।
আর.এস.কে.এইচ ইনস্টিটিউশনের পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিসসহ কয়েকশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি। আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে সেখানে বাসবাসকারী ও অফিস করতে আসা লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে আর.এস.কে.এইচ মডেল ইনস্টিটিউশনের অবস্থান। বিশাল ক্যাম্পাসের এই বিদ্যালয়টি উপজেলার একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।
করোনা মাহামারির শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিদ্যালয় মাঠের উন্মুক্ত স্থানে হাটবাজার বসানো হয়। প্রতিদিন বাজার ও সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে এখানে। অস্থায়ী এই বাজারে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। দেড় বছর যাবৎ ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয় ভবনের পেছনে, মাঠে ও পুকুরে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাজাররাধানগরের বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, ‘এক বছর আগেও বিদ্যালয়টির পুকুরের স্বচ্ছ জল সবার দৃষ্টি কাড়ত। এখানে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো । এখন সবই স্মৃতি। ’
পথচারী আরিফুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন ময়লার স্তূপ পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে নাকে–মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। ’
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, ‘বিদ্যালয় ও হাসপাতালের মাঝে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল মাঠ ও ক্লাসের পাশেই আবর্জনার স্তূপ। অভিভাবকেরা অভিযোগ দিচ্ছেন। বাজার উঠে গেলেও ময়লা রয়ে গেছে। ১২ সেপ্টম্বর থেকে বিদ্যালয় খুলছে। আমরা রাত-দিন কাজ করছি বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য।’
শাহীন/মাসুদ