রাজবাড়ীর পানিবন্দি ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান নিয়ে শঙ্কা
রাজবাড়ী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
রাজবাড়ী জেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের ২১টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় রাজবাড়ীর পানিবন্দি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এসব তথ্য জানান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী।
তবে এখন পর্যন্ত জেলার কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা প্লাবিত হবার খবর পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুতলা বিশিষ্ট এ বিদ্যালয়টির অবস্থান পদ্মা নদী থেকে মাত্র ২০ ফুট দূরে। পদ্মার পানি বাড়ায় বিদ্যালয়ের চারপাশ দিয়ে পানি ঢুকছে। মাঠে হাঁটু পানি। নিচতলা সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার হওয়া বিদ্যালয়টির দু’তলায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। তবে পানি কমতে শুরু করায় তারা আশা করছেন নির্ধারিত দিন থেকেই ক্লাস শুরু করতে পারবেন। শ্রেণিকক্ষ দ্বিতীয় তলায়। নিচতলায় শুধু প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস হয়। সরকারিভাবে এই শ্রেণির পাঠদান শুরুর নির্দেশনা এখনো আসেনি।
রাজবাড়ীর তথ্য বাতায়ন থেকে জানা যায়, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৮২টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় ১৪৮টি ও মাদরাসা ৭৪টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, জেলার নিম্নাঞ্চলের ২১টি বিদ্যালয় এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে গোয়ালন্দে বেশি। এসব বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পানি না নামা পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে যাবে। পরবর্তীতে শিক্ষার সকল কার্যক্রমকে জোরদার করে ক্ষতি পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে। না হলে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার সামছুনাহার চৌধুরী জানান, গতকাল পর্যন্ত সারা জেলায় কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা মাদরাসা বন্যার পানিতে প্লাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তারপরও উপজেলা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
সুকান্ত বিশ্বাস/টিপু