ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

বন্যায় স্কুলে ক্লাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:১০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
বন্যায় স্কুলে ক্লাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা

১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সরকারি এই ঘোষণাতে খুশি হতে পারেননি কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা।

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের খানা-খন্দে হাঁটু পানি জমে থাকায় কোমলমতি সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অবিভাবকরা।

এ অবস্থায় দ্রুত রাস্তা-ঘাট মেরামত করে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আরো পড়ুন:

সম্প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার প্রায় শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চরাঞ্চলের ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  

এছাড়াও নদ-নদীর ভাঙ্গন বিলীন হয়েছে আরো ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়গুলো খোলার প্রস্তুতি নিলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন অবিভাবকরা।

প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকরা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে যেখানে শিক্ষকদের যেতেই দুর্ভোগে পড়তে হবে সেখানে শিশুদের যাওয়াটা প্রায় অসম্ভব।

এ অবস্থায় সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলো দ্রুত মেরামতের করে বিদ্যালয়গুলোতে সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাইয়ের চরের এক শিক্ষার্থীর অবিভাবক করিম মিয়া বলেন, ‘বন্যায় রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে এখনও পানি জমে আছে। এ অবস্থায় সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই বিদ্যালয়ে যাওয়ার আসার রাস্তাটা যেন সরকার মেরামত করে দেয়।’

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের আবুল হোসেন কিং ছিনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরনবী সরকার বলেন, ‘বন্যায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়কের বিভিন্নয় জায়গায় গর্ত হয়ে কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও তার চেয়ে বেশি পানি জমে আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরাও দূরে মোটরসাইকেল রেখে প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে, পানি মারিয়ে বিদ্যালয়ে আাসা-যাওয়া করছি। আমরা সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য উপযুক্ত করে রেখেছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ১২শ ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চরাঞ্চলের ৮৪টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ৫টি বিদ্যালয়ের বিকল্প জায়গায় পাঠদানসহ সব বিদ্যালয়ে একযোগে পাঠদান শুরু করা হবে। আমরা সে মোতাবেক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি।’

বাদশাহ/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়