না.গঞ্জে পণ্যবাহী মোটরযানের ধর্মঘট পালিত হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের ১৫ দফা দাবিতে দেশে ধর্মঘট পালিত হলেও নারায়ণগঞ্জে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র ও সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক. কাভার্টভ্যান চলাচল করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে পণ্যবাহী মোটরযানের ধর্মঘট। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। মোটরযান মালিকদের অগ্রিম আয়কর বাতিল ও কাগজপত্র চেকিংয়ের স্থান নির্ধারণসহ ১৫ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি ব্যাবসাকেন্দ্র নিতাইগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে পণ্য আনা-নেওয়া করেছে। শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক, কাঁচপুর শিল্প এলাকা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন ব্যবসাকেন্দ্রে ট্রাক কাভার্টভ্যান চলাচল করেছে।
ট্রাকচালকরা রাইজিংবিডিকে জানান, সকালে এসে তারা শুনেছেন আজ থেকে ধর্মঘট। কিন্তু কারা, কী কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, কিছু জানতে পারেননি। সংগঠনের নেতারা এ বিষয়ে তাদের কিছু জানাননি।
পণ্যপরিবহন মালিক শ্রমিকদের একাধিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে নারায়ণগঞ্জে ধর্মঘটের এই অবস্থা বলে জানিয়েছেন চালকরা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী ও কাভার্টভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু রাইজিংবিডিকে জানান, পণ্যবাহী পরিবহনের দুটি সংগঠন ১৫ দফা দাবিতে সারা দেশে এ ধর্মঘট ডাক দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলের কারণ হিসেবে তিনি জানান, ১৫ দাফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দাবি মানা না হলে আগামী ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সারা দেশে ধর্মঘট পালন করা হবে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে পণ্যবাহী যান চলছে।
১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে; পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে; যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন, তাদের সহজশর্তে ও সরকারি ফি’র বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে; চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে; প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; সারা দেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্য পরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে এবং লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।
রাকিব/বকুল