শেখ হেলালের সভায় বোমা হামলার বিচার ২০ বছরেও হয়নি
বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় বোমা হামলার বিচার দীর্ঘ দুই দশকেও হয়নি।
২০০১ সালের ২৩ সেপেটম্বর বিকেলে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার খলিলুর রহমান (কে আর) কলেজ মাঠে বাগেরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাত ভাই শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনি জনসভায় বোমা হামলা হয়। সেদিন শেখ হেলাল জনসভাস্থলে যাওয়ার জন্য কলেজ গেটে ঢুকতেই গেটের পাশে পুঁতে রাখা শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত ও শেখ হেলালসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনার মামলা দায়েরের ২০ বছর কেটে গেলেও আজও বিচার শেষ হয়নি।
ঘটনার পরের দিন ২৪ সেপেটম্বর মোল্লাহাট থানায় তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী জিয়াউল ইসলাম পান্না বাদী হয়ে ১৬৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
দুই দফা তদন্ত শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট পুলিশ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, শিকদার বাদশা মিয়া, জিল্লুর রহমান, মুফতি আব্দুল হান্নান, আনিছুজ্জামান, আবু তালেব ও হাফেজ মো. রকিব হাসান।
পরবর্তীতে আবু তালেব ও হাফেজ মো. রকিব হাসান মারা যাওয়ায় তাদের নাম বাদ দিয়ে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বাকি ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআইডি যশোর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম আদালতে সম্পুরক চার্জশিট জমা দেন। মামলা দুটি বাগেরহাটের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।
মামলার চার্জ গঠনের সময় রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন করলে এ বিষয় শুনানি হয়ে আদেশের জন্য আগামী ৩ অক্টোবর দিন ধার্য আছে। এভাবে কেটে গেছে দীর্ঘ ২০ বছর।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুঁইয়া হেমাতে উদ্দিন বলেন, শেখ হেলাল উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার নির্বাচনি জনসভায় হামলা করা হয়। এ বোমা হামলার জন্য ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী, ৭৫ এর খুনি চক্র ও মৌলবাদীদের দায়ী করে তিনি এ বোমা হামলার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের আমলে তদন্ত হওয়ায় চার্জশিটে নানা ত্রুটি থাকায় পুনঃতদন্ত চাওয়া হয়েছে। পুনঃতদন্তের বিষয় শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া, ওই আদালত আইনজীবীরা বর্জন করা এবং এখনও বর্জন অব্যাহত রাখায় আদেশ পেতে দেরি হচ্ছে।
দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পিপি মোহাম্মদ আলী।
টুটুল/বকুল