ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন  

নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হলো ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।

দিবসটি উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

এ সময় ময়েজউদ্দিনের মেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমতউল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঈীর আলমসহ গাজীপুর জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় মেহের আফরোজ চুমকি, কালীগঞ্জ উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ হয়। মরহুমের নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়া স্কুল মাঠে দোয়া, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে জাতীয় পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

শহীদ ময়েজউদ্দিন ১৯৩০ সালে ১৭ মার্চ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহ্বায়ক ছিলেন। ময়েজউদ্দিন বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা’ পদকে ভূষিত করেন।

১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ২২ দল হরতাল আহ্বান করে। ওইদিন কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।