আদালতে বোমা হামলা : মিজানের মৃত্যুদণ্ড, জাবেদের যাবজ্জীবন
১৬ বছর আগে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বোমা হামলা মামলায় আদালত বোমা মিজান নামের এক জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামি জেএমবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম রোববার ১১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে একমাত্র জাবেদ ইকবাল কারাগারে বন্দি আছেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি বোমা মিজার পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয় (নম্বর- ৩৮(১১)২০০৫)। এই মামলা তদন্ত করে এক বছর পর ২০০৬ সালের ১৮ মে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জেএমবি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদ ও বোমা তৈরির কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
একই বছরের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার শুনানি চলাকালে ২০০৮ সালে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করা যায়নি। পরে মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত যায়। পরে পুনঃরায় ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ট্রাইব্যুনালে পাঠান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের গঠন করা হলে চট্টগ্রামের জঙ্গিদের সব মামলা এই ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এই মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা দুই আসামির মধ্যে একমাত্র আসামি জঙ্গি জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে আটক আছেন। অপর আসামি বোমা মিজানকে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহের আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় অন্য জঙ্গিরা। এর মধ্যে একজন ছিলেন বোমা মিজান। এরপর বোমা মিজানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। রায় ঘোষণাকালে আদালতে হাজির করা হয় জাবেদ ইকবালকে।
চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী