ঢাকা     শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

সিনহা হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১২ অক্টোবর ২০২১  
সিনহা হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ অক্টোবর

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার ষষ্ঠ দফায় সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

এর আগে ১০, ১১ ও ১২  অক্টোবর মামলার পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। বিভিন্ন মেয়াদে এখন পর্যন্ত এই মামলার প্রথম, থেকে পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলো।

আরো পড়ুন:

এর আগে রোববার  (১০ অক্টোবর) সাক্ষী বেবি বেগমের চতুর্থ ধাপে বাকি থাকা জেরা দিয়ে পঞ্চম ধাপের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পঞ্চম দফার শেষ দিনে মঙ্গলবার চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। তারা হলেন, সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ইমরানি, পুলিশের এসআই সোহেল সিকদার, এএসআই নজরুল ও কনস্টেবল শুভ পাল।

পিপি ফরিদুল আলম জানান,  মঙ্গলবার  ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহনের জন্য উপস্থিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অনীহার কারণে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়েছে।  এছাড়াও কালক্ষেপণের অংশ হিসেবে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে রিকল করার আবেদন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ অগাস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

অভিযুুক্তদের মধ্যে ৭ জন ৬ আগস্ট কক্সবাজারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই ১৪ জনের বাইরে টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেবকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়। গত ২৪ জুন দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে তিনিও আত্মসমর্পণ করেন।

গত ২৭ জুন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল মামলাটির চার্জ গঠন করেছেন।

তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়