কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের আরও ২ মামলা সিআইডিতে
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর পাড়ে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের আরও দুই মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ অনুষ্ঠানিকভাবে মামলার নথিপত্র সিআইডি, কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজওয়ানের কাছে হস্তান্তর করেন।
এর আগে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি, কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, নানুয়ার দিঘীর পাড়ে অস্থায়ী পূজামণ্ডপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় প্রতিমা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেরদৌস হোসেন গত ১৪ অক্টোবর ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ছয়জন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিনে কুমিল্লা নগরীতে মন্দির ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে এ মামলা দুটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই আলোকে আজ মামলার সব ডকুমেন্ট অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে মামলা দুটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, নানুয়ার দিঘীর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানায় এখনও পর্যন্ত ১১ মামলা হয়েছে। এরমধ্যে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি, দাউদকান্দি ও দেবিদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
রহমান/বকুল