হিলি বন্দরে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি
দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশে চলছে বাস-ট্রাক ধর্মঘট। তবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়েনি।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ভোর থেকে দেশে বাস-ট্রাক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সেটি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর বন্ধ ছিলো। শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকেছে। সেই পণ্য লোড করে দেশি ট্রাকগুলো বন্দর ছেড়ে গেছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংকের গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বন্দরে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন পড়েনি। সকাল থেকে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আসছে এবং পণ্য আনলোড হচ্ছে। আজ সারা দিনে এই বন্দরে ২০০টিরও বেশি দেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে বেরিয়ে গেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক রনি খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ধর্মঘটের মধ্যে অনেকে গাড়ি বের করতে চাচ্ছে না। যদিও কেউ গাড়ি দিচ্ছে, তবে ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। প্রতি টন পাথরের উপর ১৫০ টাকা বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। গাড়িও তেমন পাচ্ছি না, আজ মাত্র ১৭টি গাড়ি পেয়েছি। অন্যদিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার ৪০ থেকে ৪৫ ট্রাক লোড হয়ে বাহিরে চলে যায়।’
এদিকে, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে থেকে হিলি স্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। সারি দিয়ে গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা বাস না পেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা, ভ্যান এবং সিএনজি অটোরিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছে।
ধর্মঘটে গাড়ি বন্ধ থাকায় চালকরা পড়েছেন বিপাকে। এভাবে ধর্মঘট চললে কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা।
গাড়ি মালিকদের অভিযোগ হঠাৎ করে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে লিটারে ১৫ টাকা। ৬৫ টাকার তেল এখন কিনতে হবে ৮০ টাকায়। কিন্তু তেলের দাম বাড়লেও ভাড়া বাড়েনি। তেলের দাম স্বাভাবিক না করলে কিংবা ভাড়া বৃদ্ধি না করলে তারা গাড়ি চালাবেন না বলে জানান।
মোসলেম/বকুল