প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেবেন মেনে নেবো: জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেবেন আমি তা মেনে নেবো। 

শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘আমার অস্তিত্বে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু। আমার অভিভাবক হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বা দেবেন তা আমি মেনে নেবো। তিনি যদি বিনা কারণে আমাকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলতে বলেন তাতেও আমি রাজি আছি। এতেও আমার দ্বিমত নেই।’ 

মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল তথ‌্য গেছে, আংশিক তথ্য দেওয়া দিয়েছে। তাকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলাম আমার কথা শোনার জন্য। যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কথাগুলো বলতে পারতাম তাহলে তিনি সঠিক জিনিসটা জানতেন। তার কাছে সত্য তথ্য গেলে অবশ্যই ন্যায়বিচার পেতাম। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমি কোনো পাপ বা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত না। মানুষের ভুল হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাকে তিন বছরের জন্য পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাকে বহিষ্কার করে আমার, আমার পরিবার এবং আমার অস্তিত্বের মধ্যে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে তা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার ভুল হতে পারে। ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চাই। প্রধানমন্ত্রী যেন বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করেন। আমি রিভিউ করতে চাই। আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে থাকতে চাই। পদ দিক আর না দিক তাতে কিছু যায় আসে না।’

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এক অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে তাকে কটু মন্তব্য করতে শোনা যায়।

অডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গাজীপুরে আওয়ামী লীগ এবং সেখানকার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন আওয়ামী লীগে থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনার আকুতি জাহাঙ্গীরের

 কান্নায় ভেঙে পড়লেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর মেয়রের বাসায় সংবাদকর্মীর ভিড়, নেই নেতাকর্মী 

জাহাঙ্গীরের মেয়র পদও নড়বড়ে