মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৩ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক,নারায়ণগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও তিনজন। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ও তার সহযোগীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ।
রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষের (রিসিপশন) কর্মী মাহবুবুর রহমান ও আনসার সদস্য মো. ইসমাইল। এই মামলার মোট সাক্ষী ৪৩ জন। এখন পর্যন্ত বাদীসহ সাত জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এদিকে এই মামলাকে ‘সাজানো’ দাবি করে আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সাক্ষীর প্রত্যেকেই বলেছেন, মামলার বাদী যখন রিসোর্টে প্রবেশ করেছিলেন তখন তাকে ভীত বা অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে দেখা যায়নি। মামুনুল হক তাকে জোর করে রিসোর্টে নিয়ে গেছেন তেমনও অভিযোগ করেননি কারও কাছে। সাক্ষীদের দুর্বলতা রয়েছে, তাদের সাক্ষ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। মামুনুল হককে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই মামলাটি সাজানো হয়েছে।’
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় আনা হয় মামুনুল হককে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়। মামলার ৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পরে আসামিকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের ৩ এপ্রিল বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তখন ওই নারীকে নিজের বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ওই রিসোর্ট ঘেরাও করেন। এই ঘটনার প্রায় মাসখানেক পর ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে তারই দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারী ধর্ষণ মামলা করেন। ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়।
রাকিব/ মাসুদ