‘কুমিল্লায় তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনে কাজ করছি’
কুমিল্লা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেছেন, ‘আবহাওয়া সহিষ্ণু ধান, পাটসহ সব ধরনের সবজির নতুন বীজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। এখন থেকে কৃষকরা সারাবছরই মাঠে ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। ’
শুক্রবার (১৩ মে) বিকালে কুমিল্লা বিনা উপকেন্দ্রে প্রান্তিক কৃষকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মির্জা বলেন, ‘ধানের পাশাপাশি তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা গবেষণা চালাচ্ছি। নিশ্চয়ই কৃষক ও দেশের জন্য এমন অর্জন ইতিবাচক। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিনার উদ্ভাবিত বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, খরা এগুলো মোকাবিলা করা দেশের কৃষকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাইলে আবহাওয়ার এমন রূপ বন্ধ রাখতে পারবো না। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফসল উৎপাদন করা যায়, ঠিক তেমন বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, খরায় যেন ফসলগুলো টিকে থাকতে পারে, তেমন বীজ উৎপাদন করেছি। এতে করে বছরজুড়ে কৃষকরা আমন, সরিষা, শাক ও বোরো ধান উৎপাদন করতে পারবেন। ফসলের মাঠ খালি থাকবে না।’
কুমিল্লায় আগে আমন ও বোরো ধানের পর জমি খালি পড়ে থাকতো। জমি যেন খালি পড়ে না থাকে, সেজন্য এখন আমরা স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান-৭, ১১, ১৬, ১৭, ২০, ২২ ও ২৩ মাঠে দিয়েছি। উল্লিখিত ধান বীজ থেকে সর্বনিম্ন ১০০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১১০ দিনে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। এ ছাড়াও, বিনার নতুন উদ্ভাবিত সরিষা এখন স্যাঁতস্যাঁতে পানিতে জন্মে এবং ফসলও ভালো হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অর্পিতা সেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক।
শরীফ/এইচএম