ঢাকা     শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

পদ্মা সেতু ঘিরে গোপালগঞ্জবাসী দেখছেন জীবনযাত্রার উন্নয়ন

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৩, ১ জুন ২০২২   আপডেট: ১৯:২৮, ১ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু ঘিরে গোপালগঞ্জবাসী দেখছেন জীবনযাত্রার উন্নয়ন

আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে জেনে উচ্ছ্বসিত পদ্মা পাড়ের মানুষ। বিশেষ করে গোপালগঞ্জের মানুষের আনন্দ আকাশ ছুঁয়েছে। তারা এই সেতু ঘিরে দেখছেন তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নচিত্র। 

গোপালগঞ্জে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও যাতায়াত অসুবিধার কারণে এ অঞ্চলে গড়ে ওঠেনি প্রত্যাশিত শিল্প-কারখানা। ফলে এ জেলায় রয়েছে বেকারত্বের চাপ। সাধারণ মানুষ আশা করছেন সেতুর উদ্বোধন হলে এ অঞ্চলে শিল্প-কারখানা দ্রুত গড়ে উঠবে। এতে একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে, অন্যদিকে দূর হবে বেকারত্ব। এ ছাড়া সড়ক পথে যোগাযোগের ভোগান্তি তো কমবেই। 

জানা গেছে, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি ছাড়িয়েছে ৯৮ শতাংশ। এখন চলছে রেলিংয়ের পাশাপাশি ল্যাম্প পোস্টের সঞ্চালন লাইন, দুই পাড়ে সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ৷ 

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা সুশান্ত সাহা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি হলেই আমাদের ঢাকা যেতে দুর্ভোগের সীমা থাকতো না। তখন ফেরী চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করতাম। আমাদের সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুর যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। এখন আমরা নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকা যেতে পারবো। এতে আমাদের ভোগান্তি কমবে, সময়ও বাঁচবে। আমরা ভীষণ আনন্দিত।’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ও প্রাণের সেতু পদ্মা সেতু। সেতু চালু হলে ঢাকা যেতে সময় এবং অর্থ দুটোরই সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন টুঙ্গিপাড়ার আরেক বাসিন্দা অ্যাভোকেট আবুল কালাম আজাদ। ‘কাঁচা মালসহ মালামাল পরিবহনে সুবিধা তো হবেই, দেশের অন্য জেলাগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়বে।’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন তিনি। 

গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম জুলকদর রহমান বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গোপালগঞ্জ সব দিকে থেকে নিগৃহীত হয়েছে। আজ আমাদের গর্বের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সাহসিকার জন্যই আজ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আমাদের স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে।’

পদ্মা সেতু একটি মাইল ফলক বলেও উল্লেখ করেন এই আইনজীবী।

সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘অনেক চড়াই-উৎরাই ও প্রতিকূলতা পেড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। আমরা গর্বিত। পদ্মা সেতুর কারণে ১৭ জেলার তিন কোটি মানুষ সুবিধা পাবেন। এখন এ জেলায় শিল্পাঞ্চল গড়ায় সুবিধা হবে। আমরা সেই স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে।’ 

/তারা/ 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়