বগুড়ায় ধান-চালের বিপুল মজুত, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
অবৈধ মজুত বিরোধী অভিযানে বগুড়ার শেরপুরে শিনু এগ্রো লিমিটেড ও গৌর গৌরাঙ্গ ভাণ্ডার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দুটি প্রতিষ্ঠানের ধান চালের গুদামে ১৪৪৬ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন ধান মজুত পাওয়ায় এই জরিমানা করা হয়।
শেরপুরের সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) সাবরিনা শারমিন বুধবার (১ জুন) এ জরিমানা করেন।
জানা গেছে, এসিল্যান্ড সাবরিনা শারমিন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দিনভর উপজেলার বিভিন্ন চালের গুদাম এবং বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় গৌর গৌরাঙ্গ ভাণ্ডারে ২০০ মেট্রিক টন এবং শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন ধান মজুত পাওয়া যায়।
গৌর গৌরাঙ্গ ভাণ্ডারে ১০০ মেট্রিক টন চাল পর্যন্ত মজুতের অনুমোদন রয়েছে। এছাড়াও মজুত করা চাল একমাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের গুদামে রাখা আছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি চাল মজুত রাখা অবৈধ। একারণে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান পরিচালনা করে সেখানে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার ১৪৬ মেট্রিক টন ধান মজুত পাওয়া যায়। চালগুলো এসিআই ফুডস লিমিটেডের লেবেল যুক্ত এবং নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বস্তায় পাওয়া যায়। যা গত মার্চ মাস থেকে মজুত অবস্থায় আছে বলে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার এনামুল হক। মিলের ও মজুতের লাইসেন্স শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের নামে থাকলেও সেখানে এসিআই ফুডস লিমিটেডের লেবেল যুক্ত ধান-চাল পাওয়া যায়। কিন্তু এসিআই ফুডস লিমিটেডের শেরপুরে মিলের ও ধান-চাল মজুতের কোনো লাইসেন্স নেই। ওই মিল ও গুদামেই ধান-চাল প্যাকেটজাত ও মজুত করে আসছিল এসিআই ফুডস লিমিটেড, যা অবৈধ। এই অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) সাবরিনা শারমিন জানান, গুদাম দুটির ধান চাল আগামী তিনদিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধান-চালের অবৈধ মজুত বন্ধে ও মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এনাম/টিপু