ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫ ||  চৈত্র ২৭ ১৪৩১

স্ত্রী চলে যাওয়ায় দুঃখে নিজের কবর খুঁড়লেন কাবিলা  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ২৩ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ২০:২৫, ২৩ আগস্ট ২০২২
স্ত্রী চলে যাওয়ায় দুঃখে নিজের কবর খুঁড়লেন কাবিলা  

ভালোবেসে বিয়ে করার পর ভালোই চলছিল কাবিলা ফকির ও আসমা বেগমের সংসার। হঠাৎ সেই সুখের ঘরে দুঃখের হাওয়া বইতে শুরু করলে এক সন্তান নিয়ে রাগে-ক্ষোভে বাবার বাড়ি চলে যান আসমা বেগম। আর তাতেই টলে ওঠে কাবিলা ফকিরের জীবন। স্ত্রীর দুঃখে কবর খুঁড়ে তার মধ্যে ঠাঁই নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বেঁচে থেকে ‘জীবন্ত লাশ’ হতে চান কাবিলা।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ঈশ্বরকাঠি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকেলে।

স্থানীয়রা জানান, ১৮ বছর আগে ঈশ্বরকাঠি গ্রামের রসূল ফকিরের ছেলে কাবিলা ফকিরের সঙ্গে একই উপজেলার দেনছের আলী হাওলাদারের মেয়ে আসমা বেগমের বিয়ে হয়। এর কয়েক বছর পর আরও দুটি বিয়ে করেন কাবিল ফকির। তিন স্ত্রীকে নিয়েই তিনি বসবাস করছিলেন। 

কাবিল পেশায় কাঠমিস্ত্রী। সংসারে অভাব থাকলেও সতীনদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক ছিল না। তবে কয়েক মাস আগে প্রথম পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে আসমা তিন বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। পরে তাকে কয়েকবার বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কাবিলা। এরপরই কবর খুঁড়ে সেখানে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ জন্য বাঁশ কেটে, কবর খুঁড়ে তিনি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। 

খবর পেয়ে এলাকার সাংবাদিকরা গেলে কাবিলা বলেন, ভালোবেসে আমি আসমাকে বিয়ে করেছি। আমার সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে আছে। ওদের ছাড়া আমার জীবন বৃথা। ওদের না পেলে আমি কবরে বসেই মরে যাবো। কবরে বসে থেকে জীবন্ত লাশ হতে চাই।

এ প্রসঙ্গে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আবদুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কাবিলা কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই সে নানারকম পাগলামি করে আসছে। তবে নিজের কবর নিজে খোঁড়ার খবর পেয়ে আমি ওর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি। 
 

অলোক/তারা


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়