স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আশা বেগমের অনশন
নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
একরামুল
নওগাঁ সদর উপজেলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আশা বেগম নামে এক নারী অনশন করছেন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে উপজেলার বলিহর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা একরামুল ইসলামের (২৬) বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন তিনি।
বিবাহ নিবন্ধন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহারপুর গ্রামের ইউনুস আলী ছেলে একরামুল ইসলাম ঢাকাতে চাকরি করতেন। সেখানে চাকরি করতেন আশা বেগমও। প্রায় এক বছর আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। গত ২৬ জুলাই ঢাকার জামগড়া ইয়ারপুর ইউনিয়নের কাজী অফিসে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আশা বেগমকে বিয়ে করেন একরামুল। (রেজি: নম্বর ০০৬)। ২২ সেপ্টেম্বর একরামুল তার স্ত্রীকে বাসায় রেখে চলে আসেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপরই একরামুলের বাড়িতে আসেন আশা বেগম। এ ঘটনায় একরামুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। একরামুলের পরিবারের সদস্যরা আশা বেগমকে মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। আর এরপর থেকে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে অনশনের চালিয়ে যাচ্ছেন তিন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আশা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেছি। এখন আমার সঙ্গে আমার স্বামী যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আর তার পরিবারও আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তাই আমি একরামুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি। স্ত্রীর মর্যাদা না পাওয়া পর্যন্ত এ বাড়িতেই অনশন চালিয়ে যাব।’
একরামুলের মা রোশনারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বিয়ে করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। এই মেয়েকে আমি বাড়ি তুলবো না। যদি আমার ছেলে বিয়ে করে থাকা তাহলে দুজনকেই বাড়িতে তুলবো না।’
বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসরেফুর রায়হান মাহিন বলেন, ‘দুইজন যে বিয়ে করেছেন তার সত্যতা মিলেছে। কাজির সঙ্গে কথা হয়েছে তিনিও বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ছেলের পরিবারে মেয়েটিকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
সাজু/ মাসুদ