স্টেশনের পরিত্যাক্ত ঘরে পরিবার নিয়ে জব্বরের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম
মো. জব্বার মিয়া
মো. জব্বার মিয়া (৭৫)। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা। এ গ্রামে ঘরবাড়ি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন জেলার বাহুবল উপজেলার লস্করপুর রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত সরকারি ঘরে।
দরিদ্র হওয়ায় এক বেলা খেলে, অন্য বেলা থাকতে হয় উপোষ করে। এ অবস্থায় ৫ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন। এই ছেলে তার পরিবার নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে।
বর্তমান দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে জব্বার মিয়ার। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় নিয়মিত কাজে যেতে পারছেন না তিনি। তার সঙ্গে থাকা দুই ছেলে একদিন কাজে গেলে, দুইদিন ঘরে বসে থাকে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।
জব্বার মিয়া বলেন, ‘বয়স হলেও এখনো বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইনি। সরকারের আশ্রয়ণে একটি ঘর পেলে পরিবার নিয়ে অন্তত সেখানে বসবাস করতে পারতাম। সরকারের কাছে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডেরও দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জব্বার মিয়ার বাড়ি না থাকায় স্টেশনের পরিত্যক্ত ঘরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাকে একটা ভাতার কার্ড ও আশ্রয়ণে একটি ঘর উপহার দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার মো. হেলাল মিয়া বলেন, ‘বর্তমান সরকার গৃহহীন লোকজনকে আশ্রয়ণে পাকা ঘর উপহার দিচ্ছে। এখানে জব্বার মিয়ার বঞ্চিত থাকার কথা নয়। যাই হোক সরকারিভাবে যেন দ্রুত তাকে একটি ঘর ও ভাতার কার্ড দেওয়া হয় সে জন্য আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, ‘আবেদন সাপেক্ষে গৃহহীন লোকজনকে আশ্রয়ণে ঘর প্রদান করা হচ্ছে। প্রদান করা হচ্ছে ভাতার কার্ডসহ নানা ধরণের সহায়তা। এখানে তিনি (জব্বার মিয়া) আবেদন করেননি। আবেদন করলে অগ্রাধিকার দিয়ে তাকে সরকারিভাবে সহায়তা করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।’
মাসুদ