ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যু: ৫ বছর মামলার আবেদন

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৬ অক্টোবর ২০২২  
কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যু: ৫ বছর মামলার আবেদন

নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলার আবেদন করেছে নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম। 

রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে মামলার এ আবেদন করা হয়। বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন। 

নিহত হুদা মো. আলম বেগমগঞ্জ উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

মামলার আবেদনের আসামিরা হলেন, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং একই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।

আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পর দিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতের পরিবার সেই সময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন রাতে তাকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে। 

তৎকালীন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ আলম নিহত হওয়ার পর গণমাধ্যমে বলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তার তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে অভিযান চালানোর সময় তার সহযোগীরা পুলিশের উপর আক্রমণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে আলম পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। নিহত আলম সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’

মামলায় বাদী পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামাণিক।

এ সময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি এ বি এম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সুজন/বকুল 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়