ঢাকা     শনিবার   ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২০ ১৪৩১

নির্বাচনে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাচ্ছেন আ.লীগ নেতা

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২১, ২১ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১০:৫৯, ২১ অক্টোবর ২০২২
নির্বাচনে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাচ্ছেন আ.লীগ নেতা

জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে হেরে গিয়ে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম রাজ এর বিরুদ্ধে। তার পক্ষ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানরা টাকা ফেরত চাচ্ছেন বলে কয়েকজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়া সদর ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী ছিলেন মাহফুজুল ইসলাম রাজ। নির্বাচনে তিনি ৪২টি ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু ১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য রানীমা খাতুন বলেন, ‘আমাদের গোপনে টাকা দিয়ে এখন টাকা ফেরত চাচ্ছেন মাহফুজুল ইসলাম রাজ। টাকা ফেরত না দেওয়ায় আমাকে অপমান অপদস্থ করা হয়েছে।’

একই ইউনিয়নের আরেক নারী সদস্য মাহমুদা বেগম বলেন, ‘মাহফুজুল ইসলাম রাজকে ভোট দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের তিন জন নারী সদস্যের জন্য আমাকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া ভোটের কয়েক দিন আগে দুই দফায় আমাকে হাত খরচ বাবদ আরও ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। রাজ ভোটে হেরে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রুমী আমাকে ফোন করে টাকা ফেরত দিতে বলেন।’

ইউপি সদস্য মিনহাজুল ইসলাম খান নান্নু বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছেও টাকা ফেরত চেয়েছেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, মাহফুজুল ইসলাম রাজ ভোটের আগের দিন ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তাদের টাকা দিয়েছেন। অনেক ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর তিনি এখন টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক রুমী বলেন, ‘আমি কারও কাছে টাকা ফেরত চাইনি। কোনো মেম্বার এসব বলতে পারবে না।’

এদিকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মাহফুজুল ইসলাম রাজ বলেন, ‘বগুড়া সদরের কোনো ইউপি সদস্য বলতে পারবেন না, আমি তাদের সম্মানী দেইনি। কিন্তু ইউপি সদস্যদের অনেকেই দুপক্ষ থেকেই টাকা নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরেও অনেকেই আমাকে ভোট দেননি।’

তবে টাকা ফেরত চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে রাজ বলেন, ‘আমি নিজে কারও কাছে টাকা ফেরত চাইনি। যাদের মাধ্যমে ইউপি সদস্যরা দুই পক্ষের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছেন, তারা টাকা ফেরত চাইতে পারে।’

এনাম/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়