ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১২ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: নোয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ ফিরে গেছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৫ অক্টোবর ২০২২   আপডেট: ১৬:৩৬, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: নোয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ ফিরে গেছে

নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কাটিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে হাতিয়ায় কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া জোয়ারের পানিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মানুষ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে জেলার ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লক্ষাধিক মানুষ তাদের নিজ ঘরে ফিরে গেছেন। হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জোয়ারের পানি থাকায় এখনো কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়েছে।  

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, জোয়ারের পানি নেমে গেলে এখনও যারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তারা বাড়িতে ফিরে যাবেন।   

আরো পড়ুন:

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল ও আড়াইশত হেক্টর জমির উঠতি শাকসবজি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, তমরদ্দি, নলচিরা, সুখচর, হরণী ও চানন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ভারী ঝড়ো হাওয়ায় বসতঘরের টিনের আঘাতে তমরদ্দিতে মেহেদী হাসান (৩২), নলচিরায় গাছের ঢাল পড়ে জগদীশ চন্দ্র দাশসহ (৪০) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত মেহেদী হাসানকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জোয়ারের লবণাক্ত পানি উপকূলীয় এলাকার ফসলি ক্ষেতে ঢুকে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঝড়ো বাতাসে কিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুবর্ণচর উপজেলায় কিছু পোলট্রি ফার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বসতঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়ে এক শিশুর প্রাণহানি হয়। কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়নের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলার ইউএনওর মাধ্যমে শুকনো খাবার কেনার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। হয়ত কোথাও আগে-পরে শুকনো খাবার পৌঁছাতে পারে।
 

সুজন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়