মারধরের পর মা-বোনের শরীরে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ ইউপি সদস্যের
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে মা ও বোনকে মারধরের পর শরীরে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য মরিয়ম বেগম আঁখির বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী শিরিন এতথ্য জানান৷
এর আগে একই দিন দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রামে ছানহা হাজী বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
অভিযুক্ত আঁখি ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, আঁখি বিয়ের পর থেকেই স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন। তার বাবা নুর নবী মারা যাওয়ায় তিনিই মা শিরিনের ভরনপোষণের দায়িত্ব নেন। কোনো কিছু নিয়ে সমস্যা হলেই আঁখি তার মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেন৷ বিভিন্ন সময় আঁখির হাতে লাঞ্ছিত হয়ে থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর মা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল সকালে বাড়ির দুটি গাছ কাটা নিয়ে আঁখি ও তার বোন সাখির কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তাদের শান্ত করতে গেলে আঁখি তার মা শিরিনকে কিল-ঘুষি মারেন। মাকে বাঁচাতে গেলে সাখিকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাদের শরীরে মরিচ গুড়া নিক্ষেপ করেন আঁখি। এসময় সাখির দুই বছরের মেয়ে তানহাও আহত হয়। শিরিনের ঠোট ফেটে জখম হয়। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিরিন আক্তার বলেন, ‘কারণে অকারণে এ পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ বার আঁখি আমাকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই। এমন ঘটনা যেন আর কোন মায়ের সঙ্গে না ঘটে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম আঁখি বলেন, ‘আমি আমার দুই বোনের চেয়ে মাকে অনেক ভালোবাসি। অন্য মেয়েদের পক্ষ নিয়ে মা এখন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। রাগে মরিচের গুঁড়ো নিক্ষেপ করেছি। তবে মা'র গায়ে আমি হাত তুলিনি।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জাহাঙ্গীর লিটন/ মাসুদ