দৌলতদিয়া ঘাটে কমেছে যানবাহন, বেড়েছে পুলিশের তৎপরতা
রাজবাড়ী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা কমে এসেছে শতকের নিচে। প্রতিদিন সাধারণত যে সংখ্যাক যানবাহন পারাপার হয় তার কয়েকগুণ কম যানবাহন পারাপার হয়েছে বিগত ২৪ ঘণ্টায়। তবে, বেড়েছে পুলিশের তৎপরতা এবং চেকপোস্টের সংখ্যা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার হয়েছে ৮৬টি যাত্রীবাহী বাস। ট্রাক ১০৬টি এবং ছোট গাড়ি ২০৮টি পারাপার হেয়েছে একই সময়।
বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন বিআইডাব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের পরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ।
সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাস এবং ব্যাক্তিগত গাড়ি খুবই কম আসছে। যে কয়টি গাড়ি আসছে সেই গাড়িগুলোতেও যাত্রী সংখ্যা নিতান্তই কম।
যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই রাজধানী মুখি হচ্ছেন না।
যশোর থেকে সোহাগ পরিবহনে আসা সেজুতি আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ভাই অসুস্থ। ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তাকে দেখতেই ঢাকায় যেতে হচ্ছে। তবে, রাস্তায় কয়েকবার গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ।’
কুষ্টিয়া থেকে এসবি পরিবহনে আসা যাত্রী প্লাবন রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। খুবই জরুরি না হলে এসময় ঢাকায় যেতাম না। শুধুমাত্র গোয়ালন্দ মোড় পার হবার থেকেই ৩ বার পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা রাবেয়া পরিবহনের সুপারভাইজার শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের ট্রিপ কম। যাত্রীও নাই তেমন একটা। মাত্র ১০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। কয়েক জায়গায় পুলিশ গাড়িতে উঠে তল্লাশি করেছে।’
তল্লাশি ও জিজ্ঞাসবাদের বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবেই এই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চেকপোষ্ট নিয়মিতই থাকে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে পুলিশ চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে তৎপরতা আরো বাড়িয়েছে।’
শামীম/ মাসুদ