বটিতে পা কাটার পর চিকিৎসার এক ঘণ্টায় শিশুর মৃত্যু!
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গাজীপুরের শ্রীপুরে খেলার সময় বটি দিয়ে পা কেটে গেলে চিকিৎসার এক ঘণ্টায়ই সিয়াম নামে সাড়ে তিন বছরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্য ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চন্নাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সিয়াম উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বদনীভাঙা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। সিয়াম পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে তার নানা বাড়িতে থাকতো। তার মা সেতু আক্তার ও বাবা শহিদুল ইসলাম স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
সিয়ামের নানি নাসিমা আক্তার বলেন, বাড়ির উঠানে দৌড়াদৌড়ি করার সময় তরকারি কাটার বটি দিয়ে তার পায়ের গোড়ালি কেটে যায়। এরপর স্থানীয় একটি ফার্মেসি নিয়ে গেলে পল্লি চিকিৎসক রাহুল মিয়া সিয়ামের শরীরে দুটি ইনজেকশন পুশ করে। এরপর তার পায়ের তলায় দশটি সেলাই শেষে ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর সিয়ামের খিঁচুনি শুরু হলে স্থানীয় মাওনা চৌরাস্তা আলহেরা হাসপাতালে নেওয়ার পাঁচ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক জানিয়েছেন আমার নাতি সিয়াম স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমার নাতি ডাক্তারের অবহেলার কারণে মারা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষের পা বিচ্ছিন্ন হলে মানুষের মৃত্যু হয় না। শিশুর পায়ের তলা কেটে মৃত্যু হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
পল্লি চিকিৎসক রাহুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশুর পা সেলাই করার সময় ওই শিশু কান্নাকাটি করেনি। তবে তার সঙ্গে আসা স্বজনেরা অনেক কান্নাকাটি করেছে। আমি যশোর থেকে ১৪ বছর যাবৎ সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা করে আসছি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত শিশুর পরিবারের পক্ষে কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রফিক সরকার/টিপু