ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

রাবি শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৫

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ৭ জানুয়ারি ২০২৩  
রাবি শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত রাবি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর হল গ্রাম এলাকার একটি ভবন থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।

অপহৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম রাতুল কুমার বর্মন (২৩)। তিনি রাবির চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান দোলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে তিনি। 

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- নগরীর রানীনগর হিন্দুপাড়া এলাকার পবন সরকার উদয় (১৯), হড়গ্রাম বাজার এলাকার  দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), একই এলাকার পলাশ কবির (২৬), হড়গ্রাম পালপাড়ার প্রবীন পাল রুদ্র (২০) এবং ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, রাতুলের সঙ্গে আসামি পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পবন সরকার মোবাইল ফোনে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বরে আসতে বলেন। রাতুল সেখানে গিয়ে দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সঙ্গে কথা বলেন। কথা শেষ করে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় পবনের সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ মিলে রাতুলকে জোর করে হড়গ্রাম বাজারের একটি একতলা ভবনে নিয়ে যায়। পরে ভবনের নিচতলায় একটি রুমে আটকিয়ে রেখে রাতুলকে মারধর করেন। পরে রাত ৯টায় আসামিরা রাতুলের মোবাইল ফোন থেকে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে। আসামিরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। রাতুলের মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠান। আসামিরা অবশিষ্ট টাকার জন্য পরে আবারো রাতুলকে মেরে জখম করেন। 

এসময় ধ্বস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাতুল ঘরের বাইরে এসে চিৎকার শুরু করেন। আসামিরা তখন রাতুলকে আবারো ধরে ঘরে নিয়ে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে রাতুলকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিরিন সুলতানা/ মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়