টাঙ্গাইলে ঘোড়দৌড় উপভোগ করলেন হাজারো দর্শনার্থী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
হারিয়ে যাওয়া গল্পের ভিড়ে এখনো টাঙ্গাইলে টিকে রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে শীতকালীন এ ঘোড়দৌড় দেখতে ঢল নেমেছিলো হাজারো মানুষের। পূর্বঘোষিত কর্মসূচী হওয়ায় উপভোগ করতে আগের দিনই স্থানীয়দের বাড়ি ভরে যায় আত্মীয়-স্বজনে। সকাল থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী শিশুরা মাঠে জড়ো হন।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের কয়া পাটাদহ গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৫৯টি ঘোড়া ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা দেখতে অন্তত ৩০ হাজার দর্শনার্থী সমবেত হয়।
ঘোড়দৌড় মাঠের মূল প্রবেশ পথ ছিলো তোরণে সাজানো। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থেকেই মাঠের চারদিকে হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বসিত আনন্দ। তাদের করতালি আর চিৎকারে অন্যরকম উল্লাস। খেলা উপভোগ করেন সকল বয়সীরা, এ যেন চিরায়ত বাঙালির চিরচেনা মিলনমেলা।
ঘোড়ারদৗড় দেখতে আসা পলাশ ইসলাম, বাবুল আহম্মেদ ও রুমি আক্তারসহ অনেকে নিজ নিজ আনন্দ জানান দিলেন। বললেন, ‘ঘোড়দৗড় গ্রামীণ ঐতিহ্য। প্রযুুক্তির দাপটে এ সুস্থ বিনোদন হারিয়ে যেতে বসেছে। ঘোড়দৌড় উপভোগ ভালো লাগে। তাই প্রতি বছর ঘোড়দৌড় দেখতে আসি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মীর ফারুখ আহমেদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হুদা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারাহ ফাতিহা তাকমিলা, বীরতারা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন মাদারগঞ্জের আলহাজ নজরুল ইসলাম ও দ্বিতীয় অর্জন করে ধনবাড়ীর আবু ছামা। এছাড়াও সকল অংশগ্রহণকারীদের সান্ত্বনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
কাওছার/টিপু