ইভিএমে ভোট দিয়েছে একতারায়, বার বার চলে এসেছে নৌকা: হিরো আলম
এনাম আহমেদ, বগুড়া || রাইজিংবিডি.কম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেয়া একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ইভিএমের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমার খালা এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ‘একতারা’ মার্কায় ভোট দেয়ার চেষ্টা করলেও ইভিএমে বার বার ‘নৌকা’ চলে আসে। পরে খালা ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারাও সেটি দেখতে পান।’
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে কেউ গ্রহণ করতে চায় না। নির্বাচন শুরুর পর থেকে প্রতিটি জায়গায় আমাকে হেয় করা হয়েছে। সবখানে আমাকে ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিটি কাজে হাইকোর্ট থেকে রায় নিয়ে আসতে হয়েছে। ওই একটা জায়গা ছাড়া কোনো জায়গায় আমাকে কেউ গ্রহণ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কতবার আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, তখন হাইকোর্ট থেকে আমার পক্ষে রায় পেয়েছি।’
আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, ‘নির্বাচনে আমি হেরেছি, কিন্তু আমার ভোটাররা কেউ এটা মেনে নেয়নি। কাহালু-নন্দীগ্রাম যান, কোন লোকটা এটাকে মেনে নিয়েছে দেখান। আপনারা এলাকায় যান, ভোটারদের কাছে জিজ্ঞেস করেন তারা হিরো আলমকে ভোট দিয়েছে? নাকি দেয়নি। জনগণ যদি বলে, তারা হিরো আলমকে ভোট দেয়নি, হিরো আলম হেরেছে। তাহলে জীবনে আর কখনো নির্বাচন করবো না।’
উল্লেখ্য, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে অল্প সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে মহাজোট প্রার্থীর কাছে হেরে যান হিরো আলম। এরপর তিনি সংবাদ সম্মেলনে ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে জানান।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে দারুণ লড়াই করলেও বগুড়া-৬ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি হিরো আলম।
কেআই