ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

হিরো আলমের সেই গাড়ি ওয়ার্কশপে, চলছে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের কাজ

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  
হিরো আলমের সেই গাড়ি ওয়ার্কশপে, চলছে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের কাজ

উপহার হিসেবে পাওয়া হিরো আলমের মাইক্রোবাসটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে ওয়ার্কশপে নেওয়া হয়েছে। দুই দিন আগে বগুড়া শহরের বকশিবাজার এলাকার ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের ওই ওয়ার্কশপে নেওয়া হয় গাড়িটি। এটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে সময় লাগবে প্রায় ২০ দিন। ১০ বছর আগে ফিটনেস নষ্ট হওয়া এ গাড়ি ঠিক করতে কত টাকা লাগবে, তা জানা যায়নি। তবে, ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গাড়িটিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে হিরো আলমকে দেবেন। 

ওই ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা গেছে, হিরো আলমকে দেওয়া উপহারের গাড়িটি রাখা হয়েছে ওয়ার্কশপে। গাড়ির বডির অবস্থা একেবারেই বেহাল। ভেতরের অবস্থাও ভালো নয়। সিটগুলো ছিঁড়ে ফোম বের হয়েছে। গাড়িটি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী।

চলতি মাসের ৭ তারিখে হিরো আলমকে উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়িটি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তিনি গাড়িটি নিয়ে আসার পর জানতে পারেন, গাড়িটির ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। ওই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কারণে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে হিরো আলমকে দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।

ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টারের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, হিরো আলম যখন গাড়িটিকে জনগণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কথা জানান, তখনই গাড়িটি আমাদের ওয়ার্কশপে মেরামত করার পরিকল্পনা করি। এরপর মোবাইল ফোনে হিরো আলমকে বিষয়টি জানাই। তিনিও অনেক খুশি হয়ে আমার প্রস্তাবটি মেনে নেন। গাড়িটি এখন আমাদের ওয়ার্কশপে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। কারণ, গাড়িটি অনেক পুরনো। অনেক কাজ করতে হবে। ডেন্টিং করতে হবে, পেইন্ট করতে হবে, ভেতরের আসনগুলো অপসারণ করে অ্যাম্বুলেন্সের সিট বসাতে হবে, অক্সিজেন সিলিন্ডার বসাতে হবে, সাইরেন বসাতে হবে, চাকাগুলো চেঞ্জ করতে হবে।

গাড়িটি মেরামতে কত টাকা খরচ পড়তে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও হিসাব করা হয়নি। আর যা লাগবে আমি দেবো। এতে আমারও জনহিতকর কাজে অবদান রাখা হবে।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেছেন, এটি খুব আনন্দের বিষয় যে, ওয়ার্কশপের মালিকরা আমাকে সহযোগিতা করছেন। তবে, ট্যাক্সের টাকার বিষয়ে এখনও বিআরটিএতে যোগাযোগ করা হয়নি। যোগাযোগ করে কিছু টাকা কমানোর জন্য অনুরোধ করব।

চলাচলের অযোগ্য গাড়ি উপহার দেওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।

এনাম/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়