হলুদের মিছিলে ডাকছে চোখ জুড়ানো সূর্যমুখী
গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশে সূর্যমুখী ফুলের বাগান
আজ পয়লা ফাল্গুন। বসন্তের রং ও রূপে নিজেকে সাজিয়েছে প্রকৃতি। ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ফুটেছে হরেক রকমের ফুল। মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হলুদ রঙের নান্দনিক ফুল সূর্যমুখী। হলুদের মিছিলে শামিল হতে ফুলপ্রেমীদের ডাকছে চোখ জুড়ানো সূর্যমুখীর বাগান।
বাতাসে দোল খাওয়া সূর্যমুখী দেখে পাশ দিয়ে ছুটে চলা যে কেউ আনন্দিত হবেন। বাগানে প্রবেশ করলেই মনে হবে, হলুদের আভা চারিদিকেই ছড়িয়েছে অপার মুগ্ধতা।
গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশে আছে কয়েকটি সূর্যমুখী বাগান। অনিন্দ্য সুন্দর ফুলের বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন বিভিন্ন বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
সংরক্ষিত এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত হলেও সূর্যমুখীর বাগান সবার জন্য অবারিত। তবে, এতে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রায় প্রতিটি বাগানে একজন করে পাহারাদার আছেন। আজ পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে সূর্যমুখীর বাগানে অতিরিক্ত দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফাতেমা তুজ জোহরা নামের এক নারী বলেন, আমার স্বামী কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটেই জব করে। ধান ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর ফুল ফোটে। এর মধ্যে সূর্যমুখী আকারে বড় এবং বেশি থাকায় আলাদা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এজন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এখানে। আমরাও বিকেলে বাচ্চাদের নিয়ে বাগানে যাই। এখানে আসলে যে-কারও মন ভালো হয়ে যায়।
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাহানারা খান সাদিয়া বলেন, অনিন্দ্য সুন্দর ফুলের বাগান দেখতে এখানে এসেছি। সূর্যমুখী ফুলের হাসি নির্মল শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।
রেজাউল/রফিক