ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভালোবাসার মানুষের জন্য ফুল কিনতে দোকানে ভিড়

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১১:৩২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভালোবাসার মানুষের জন্য ফুল কিনতে দোকানে ভিড়

বেচাকেনা জমে উঠেছে ফুলের দোকানগুলোতে

আজ পহেলা ফাল্গুন। শুরু হয়েছে ঋতুরাজ বসন্তের দিন। একই দিনে পড়েছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। বসন্ত বরণ ও ভালবাসা দিবসকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের আমেজ। প্রিয়জনকে ভালোবাসা জানাতে তাইতো ফুলের দোকানগুলোতে সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ-তরুণী থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

বিশেষ এই দুটি দিবসকে ঘিরে স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ফুলের দোকান। নগরীর রামবাবু রোড ও ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পার্কে বসেছে সারি সারি অস্থায়ী ফুলের দোকান। এইসব দোকানে গোলাপ থেকে শুরু করে নান ধরনের ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের আকৃষ্ঠ করতে চলছে গান-বাজনা। আর ফুলের দোকানগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক ক্রেতাদেরও সমাগম ঘটছে। 

এদিকে, ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সব রকমের ফুলের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করছেন দোকানিরা। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। 

আরো পড়ুন:

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা ও বসন্ত বরণ দিবস উপলক্ষে ক্রেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে গোলাপের চাহিদা। অন্য সময় প্রতি পিস গোলাপের দাম ১০-১৫ টাকা হলেও এখন এই ফুলটি বিক্রি হচ্ছে ৩০- ৪০ টাকা পিস হিসেবে। শুধু গোলাপই নয় দাম বেড়েছে অন্য ফুলেরও। দোকানগুলোতে রজনীগন্ধা ২০ টাকা, সূর্যমুখী ৪০ টাকা, গাঁদাফুলের মালা ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়াও ফুলের তৈরি মাথার বেল্ট বিক্রি হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা দরে।

এদিকে, বিশেষ এই দিবসে প্রিয়জনকে ফুল উপহার দিতে দাম নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই ক্রেতাদের। তাইতো ফুলের দোকান গুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়। ক্রেতাদের নানা ধরনের ফুলের মিশ্রনে তৈরি তোড়া ও গোলাপ কিনে হাসি মুখে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যেতে দেখা গেছে।

এদিকে, বসন্ত বরণ উপলক্ষে ময়মনসিংহে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। 

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘একই দিন দুটি দিবসের কারণে সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসব করার অনুরোধ করা হয়েছে। জয়নুল আবেদীন পার্কসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’ 

মিলন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়