পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ: মামলা বেড়ে ১৬, গ্রেপ্তার ১৭৩
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা নিয়েছে পুলিশ। এনিয়ে মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টি। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনসহ মোট ১৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বোদা ও সদর থানায় করা মামলাগুলোতে নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় এজন্য সকাল থেকেই কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আবাসস্থলসহ পুরো শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং কাদিয়ানীদের দুটি মসজিদের আশেপাশে পর্যাপ্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, গত ৩ মার্চের ঘটনার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনো জেলা জুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। গ্রেপ্তারের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান চালচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
তবে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে প্রকৃত জড়িত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চগড়। জুমার নামাজের পর আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী জলসা বন্ধের দাবিতে পঞ্চগড় জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌড়ঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এঘটনায় দুইজন নিহতও হন।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬টি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ১৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য, বিভিন্ন স্টিল ছবি যাচাই-বাছাই করেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
আবু নাঈম/ মাসুদ