রাবিতে সাংবাদিকদের ওপর শিক্ষার্থীদের হামলার অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্দোলনের সংবাদ কভারের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এ সময় দুটি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ এর লাইভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় চ্যানেলটির ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। আহত করা হয় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রাজশাহী অফিসের সহকারী মো. জুয়েলকে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ও হাতে জখম হয়েছে। এ হামলার ছবি তুলতে গেলে দৈনিক কালের কণ্ঠের রাজশাহী অফিসের ফটোসাংবাদিক সালাহউদ্দিনের হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এসময় অন্য সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনদের ধাওয়া দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা চড়াও হয়েছিলেন আজকের পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রিপন চন্দ্র রায়ের ওপরেও। পরে সাংবাদিকরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চলে আসেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকালের দিকে চ্যানেল২৪ এর একটি লাইভে স্থানীয় লোকজনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে, জুয়েলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কালের কণ্ঠের ফটোসাংবাদিক সালাউদ্দিনের ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপদ দূরত্বে থেকে পেশাগত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার বগুড়া থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বাসের আসনে বসাকে কেন্দ্র করে চালক ও চালকের সহকারীর সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবার বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় স্থানীয় এক দোকানদার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
দফায় দফায় এ সংঘর্ষে স্থানীয় মানুষের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।
কেয়া/কেআই