ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেলো আশ্রয়ণের কয়েকটি ঘরের টিন 

মাদারীপুরের কালকিনিতে ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬টি ঘরের টিন। স্থানীয়দের দাবি, দায়সারাভাবে কাজ করায় এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার কারণেই এ অবস্থা হয়েছে।  

স্থানীয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, এই ঘর নির্মাণ কাজ গত মাসেই শেষ হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাতে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস হয়। বাতাসে আশপাশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কালকিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরঠেঙ্গামারা এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরের ছাউনির টিন উড়ে যায়।  

স্থানীয় বাসিন্দা মো.সামচু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাড়ি তৈরীর কারণেই চাল উড়ে গেছে।  

অপর বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, গতকাল রাতে বৃষ্টি ও বাতাস হয়েছে। এতে ঘর বাড়ির ক্ষতি না হলেও আশ্রায়ণের কয়েকটি ঘরের চাল উড়ে গেছে।

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, সরকার গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করেছে। এটা ভালো কাজ। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে নির্মাণের এক মাসে মধ্যেই ঘরে চাল উড়ে গেছে। ঘরগুলোর দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জতিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ঝড়ে চাল উড়ে যেতেই পারে। এখনও ঘরে কেউ ওঠেননি। চাল ঠিক করে দেওয়া হবে। 

কাজে গাফলতি আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঝড়ে ক্ষতি হতেই পারে।

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিংকী সাহার সরকারি নম্বরে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, ঝড়ের কারণে চারটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো সকালেই মেরামত করে দেওয়া হয়েছে। 

নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খোলা স্থানে ঘর হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে।