১৪ ইঞ্চির বাছুর
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার একটি বাছুরের জন্ম হয়েছে। গত ২৫ মার্চ জন্ম নেওয়া ১২ কেজি ওজনের বাছুরটিকে দেখতে প্রতিদিনই উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত মাতুব্বরের বাড়িতে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজন।
দেখেত ছাগল ছানার থেকে সামান্য বড় বাছুরটি দেশের মানুষের দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় বা প্রাণী সম্পদ গবেষণার কাজে দিতে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাখাওয়াত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত দেশি জাতের বাছুর প্রসবের সময় ওজন হয় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কেজি। উচ্চতা থাকে ২৫ থেকে ৩৩ ইঞ্চি। গাভি গর্ভধারণের ৯ মাস ১০ দিন পরে বাছুরে জন্ম হয়। কিন্তু সাখাওয়তের দেশি জাতের গাভি সঠিক সময়ের একমাস আগে গত ২৫ মার্চ বাছুরটি প্রসব করে।
কৃষক সাখাওয়াত বলেন, আমার দেশি জাতের গরুটি এই বাছুর প্রসব করে। এর আগেও ওই গাভিটির আরো একটি বাছুর হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মারা গেছে। তবে দুটি বাছুরই স্বাভাবিক আকারের হয়েছিল। যেটি বেঁচে আছে তার কোনো সমস্যা নেই। এবার গাভিটি আরও একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে তবে, এই বাছুরটি অনেক ছোট।
তিনি আরও বলেন, এমন ছোট বাছুর আমি আগে দেখিনি। বাছুরটি এতই ছোট যে সে তার মায়ের দুধের নাগাল পাচ্ছে না। আর গরুটিও তার বাছুরটিকে মেনে নিচ্ছে না। কাছে গেলেই লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এ কারণে গাভিটির দুধ ফিডারে ভরে বাছুরটিকে খাওয়াতে হচ্ছে। গাভিটিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আমি এই বাছুরটি চিড়িয়াখানা অথবা প্রাণিসম্পদ গবেষণার কাজে দিতে চাই।
চরশিবা গ্রামের কৃষক জসিম শিকদার জানান, বাছুটি দেখলে মনে হবে এটি একটি ছাগল ছানা। এত ছোট বাছুর আর কখনো দেখিনি। বাছুরটির ছোটাছুটি দেখতে ভালোই লাগছে।
একই ইউনিয়নের যুবক শামসু মিয়া জানান, আমাদের বাড়ি পাশের গ্রামে। এই বাছুরটি দেখতে এখানে এসেছি। দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে। বাছুরটির সঙ্গে কয়েকটা ছবিও তুলেছি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, এটি কি জাতের বাছুর সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে প্রাণীসম্পদ অফিসের সাথে কথা বলে এটির রেকর্ডে রাখা যায়া কিনা সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমরান/ মাসুদ