ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রতিদিন বিরিয়ানি দিয়ে ইফতার করেন ৪০০ অসহায় মানুষ 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ১০ এপ্রিল ২০২৩  
প্রতিদিন বিরিয়ানি দিয়ে ইফতার করেন ৪০০ অসহায় মানুষ 

অসহায় মানুষদের জন্য ইফতারের বিরিয়ানি প্যাকেট করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা

আট বছর ধরে প্রতি রমজান মাস জুড়ে পথচারী ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করছে কুড়িগ্রামের ‘মেঠোজন’ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এখানে ইফতারি হিসেবে বিতরণ করা হয় মাংসসহ প্যাকেট করা বিরিয়ানি। প্রতিদিন সাধ্য অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৪০০ জন মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এই ইফতারি প্যাকেট। আর এতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। 

রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম। পবিত্র এই মাসের প্রতিদিন দুপুর থেকেই শহরের রিভারভিউ স্কুল মাঠে শুরু হয় বিরিয়ানি রান্নার কাজ। চাল মাংসসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে শুরু হয় রান্না। পরে স্কুল মাঠের এক পাশে চলে  বিরিয়ানি প্যাকেট করার কাজ। আর এই কাজে অংশ নেন মেঠোজনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এছাড়াও ‘মেঠোজন’ সংগঠনটিকে চাল, তেলসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন স্থানীয় অনেকেই। 

আরো পড়ুন:

সড়কে বসে একসঙ্গে ইফতার করছেন পথচারী ও দুস্থরা 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্যাকেটের কাজ শেষ হলেই ইফতারি নিয়ে যাওয়া হয় কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা দুস্থদের কাছে। ইফতারের নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই তা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ইফতারির প্যাকেট দেওয়া হয় পথচারীসহ অসহায় মানুষদেরও।

সংগঠনের সদস্য জুয়েল আহমেদ জানান, আট বছর আগে বন্যার সময় অসহায় মানুষদের রান্না করে খাবার দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর থেকে প্রতি রমজান মাসে অসহায় মানুষের জন্য আমরা ইফতার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আগামীতেও থাকবে। মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যে যে খুশি আমরা তা অনুভব করছি। 

তিনি আরও জানান, কখনো কখনো ব্যতিক্রমী ইফতার আয়োজনও করা হয়। একসঙ্গে বসে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয় রিকশাচালক, ভ্যান চালক, অটো চালক, দুস্থ্য নারী-পুরুষদের জন্য।

কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম জানান, ‘মেঠোজন’ সংগঠনটির এই আয়োজন অত্যান্ত চমৎকার। এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। সব শ্রেণি পেশার মানুষ একসঙ্গে বসে ইফতার করতে পারেন। মেঠোজনের এ কাজ প্রতি বছরের অব্যাহত থাকবে বলে  আমি আশা করছি।

মেঠোজন সংগঠনের সভাপতি ইউসুফ আলমগীর জানান, রোজাদার মানুষকে খাওয়ানোর মধ্যেই আনন্দ। এই ইচ্ছা থেকে প্রথমে নিজেদের অর্থে শুরু করেছি স্থানীয় মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এখন  অনেকেই চাল, ডাল, মশলা, তেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সংগঠনের কাছে। আবার অনেকেই দিতে আসছেন স্বেচ্ছাশ্রম।  প্রতিদিন ইফতারির এ আয়োজন খরচ হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। মানবিক কাজে সহয়োগীতা করে আসছেন অনেকেই।

বাদশাহ/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়