ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

অবৈধভাবে খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ায় ইউএনওকে শোকজ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৩   আপডেট: ০৯:৩৭, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
অবৈধভাবে খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ায় ইউএনওকে শোকজ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের জগতলা (কৈজুরি-সোনাতনী) খেয়াঘাট অবৈধভাবে ইজারা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিনসহ দুই জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সোহেল রানা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগের আপত্তি শুনানিকাল পর্যন্ত ওই খেয়াঘাটের ইজারা কার্যক্রম  স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন।

শোকজ পাওয়া  অপর ব্যক্তি হলেন- ভাটপাড়া গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে দ্বিতীয় দরদাতা সাইফুল ইসলাম মাঝি। আদালত আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযুক্তদের শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরস্তাদার মো. আমিরুল মোমেন জানান, অবৈধভাবে খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল দুপুরে এই শোকজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গুপিয়াখালি গ্রামের মাজাহার আলী মোল্লার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর ১২৩/২০২৩।

বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার মক্কেল আবু বক্কার সিদ্দিক ২০১৭ সাল থেকে ঘাট পরিচালনা করেছেন। বাংলা ১৪৩০ সালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলে গত ৩০ মার্চ বহস্পতিবার ড্র করা হয়। তিনি ওইদিন বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত মেনে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র দাখিল করে প্রথম দরদাতা বিবেচিত হন। ভাটপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম মাঝি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দরপত্র দাখিল করে দ্বিতীয় দরদাতা হন।

তারপরও শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন প্রথম দরদাতা আবু বক্কার সিদ্দিককে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় দরদাতা সাইফুল ইসলাম মাঝিকে ঘাট ইজারা দেন। এতে সরকার ১ লাখ ৯০ হাজার ১ টাকা রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি আমার মক্কেল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে আমার মক্কেল গত ১২ এপ্রিল আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ১৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি শেষে এ নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয় মামলার বিবাদী সাইফুল ইসলাম মাঝির বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।  

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলন, আমি এ বিষয়ে অফিসিয়ালি আদালতের কোনো চিঠি হাতে পাইনি। পেলে অবশ্যই এর জবাব দেবো। 

অদিত্য/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়