ঢাকা     সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১৮ ১৪৩১

সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে উত্তপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২০ এপ্রিল ২০২৩   আপডেট: ২১:৪৭, ২০ এপ্রিল ২০২৩
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে উত্তপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ

সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে উত্তপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জেমের কর্মী-সমর্থকরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এ হত্যাকাণ্ডে ১২-১৫ জন অংশ নিয়েছিলেন, তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার উদয়ন মোড়ে ইফতারি কিনতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন খায়রুল আলম জেমি। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে খায়রুলের ইসলাম জেমের মরদেহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আনা হয়। তখন জেমকে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানান আওয়ামী লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনববাগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সংসদ সদস্যরা তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ইন্ধনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানের গুন্ডা বাহিনী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এছাড়া, এ ঘটনায় কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা জড়িত। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনাননুগ ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে সড়ক অবরোধসহ আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক বিরোধের জেরে খায়রুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমি জড়িত নই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আব্দুল ওদুদ আমার নাম জড়াচ্ছেন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, ‘বুধবার শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরপরই শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যারা জেমকে হত্যা করেছে পুলিশ তাদের চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।’

কোন ঘটনার জেরে খায়রুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, তার নিজস্ব এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

মেহেদী/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়