সাঁটানো পোস্টার, স্টিকার, ব্যানার, বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
আগামি ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যানার, পোস্টার, তোরণসহ প্রচারণা সামগ্রী দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন।
এসব নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের এসব প্রচারণা আগামি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে অপসারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, আগামি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সকল নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। এ জন্য মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অপসারণ করা না হলে নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল গত ১৭ এপ্রিল ঘোষণা করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা- ২০১৬ এর ৫ বিধি অনুযায়ী ‘কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।’
এর আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, স্টিকার, ব্যানার, বিলবোর্ড, লিফলেট লাগানো বা দেয়াল লিখন করেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। যা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা- ২০১৬ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ অবস্থায় আগামি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার, স্টিকার, ব্যানার, বিলবোর্ড সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে ও নিজ খরচে অপসারণ এবং দেয়ালে লিখন মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নুরুজ্জামান/টিপু