বসিক নির্বাচনে ৪ মেয়র প্রার্থী নিশ্চিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম
আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন । আজ বৃহস্পতি বার সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে প্রার্থীর নাম ঘোষনা করে। এবারে ইসলামী আন্দোলন থেকে মেয়র প্রার্থী মনোনিত করা হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে ।
এর আগে ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেয়র পদে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সড়িয়ে তার চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। একই সাথে সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও দলীয় বিসিসি’র সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান ওরফে রূপণ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেব প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে হেড়েও এবারেও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জি. ইকবাল হোসেন তাপস।
আজ বৃস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় চরমোনাই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষনা কালে পীর সাহেব মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাশীরা কাটচুপি করার চেস্টা করলে, এখান থেকেই শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন।
ইসলামী আন্দোলনে মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলনে, আমি মেয়র হতে চাই না, আমি নগরবাসীর খাদেম হতে চাই। অমি জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, ধর্ম বর্ণ নিবেশেষে আমি একজন মানুষ হিসেবে সকলের পাশে থাকতে চাই।
এর আগে গেল ১৫ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষনা দেন বরিশালের বিসিসি’র সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান ওরফে রূপণ। তিনি বলেন, বিএনপিতে আমার পদ-পদবি নেই, ঠিক। তবে আমরা আগাগোড়া বিএনপির রাজনীতি ও আদর্শের সঙ্গেই ছিলাম এবং এখনো আছি। বর্তমানে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোট আশা করা যায় না।’ তবে আমার পিতা প্রয়াত পিতা আহসান হাবিব কামাল ১৯৯১ সাল থেকে বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন হলে তিনি প্রথম ভারপ্রাপ্ত মেয়র হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণকে হারিয়ে মেয়র হন। তাই মেয়র পদে নির্বাচন করা আমার পরিবারের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমি প্রার্থী হবো।
২০১৮ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজয়ের পরও আশা ছাড়েননি বর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বরিশাল মহানগরের সদস্য সচিব ইঞ্জি. ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি তফসিল ঘোষানার আগ থেকেই সবার আগেই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির কোন বদনাম নেই, তাই জনগন জাতীয় পার্টিকে ভোট দিবে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে বরিশাল সিটিকে একটি উৎপাদনমুখি তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে শত যল্পনা-কল্পানার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী নাম ঘোষনায় চমক দেখায়। বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সরিয়ে তার চাচা আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনিত করে। তিনি মেয়র পদে টিকিট পেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গত পাঁচ বছরে বরিশালে কোনও উন্নয়ন হয়নি। নগরবাসী আমাকে নির্বাচিত করলে তাদের প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ স্বচ্ছ থেকে কাজ করার চেষ্টা করবো এবং প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বাসে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন সে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখবো।
স্বপন/বকুল