ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

পাহাড়ে র‌্যাব-সন্ত্রাসী গোলাগুলি: আটক  ৬

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৬ মে ২০২৩   আপডেট: ১৭:১৪, ৬ মে ২০২৩
পাহাড়ে র‌্যাব-সন্ত্রাসী গোলাগুলি: আটক  ৬

কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্গম পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছলে বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি হয়েছে।এসময় বাহিনীটির প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দীনসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও গুলি।

শনিবার (৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: টেকনাফে ছালেহ বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তারকৃ অন্যরা হলেন- নুরুল আলম ওরফে নুরু (৪০), আক্তার কামাল ওরফে সোহেল (৩৭), নুরুল আলম ওরফে লালু (২৪), হারুনুর রশিদ (২৩) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে বাপ্পি (১৭)।

খন্দকার আল মঈন জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের বাহারছড়ায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সশস্ত্র গ্রুপ ‘ছলে বাহিনীর’ প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন ও তার সহযোগী সোহেলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছলে উদ্দিন একজন আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য এবং অপহরণ ও ডাকাতির মূল হোতা। তিনি ২০১২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ২০১৩ সালে অবৈধ উপায়ে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে মানবপাচার করেন। পরে ২০১৯ সালে আবারও বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকের ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষদের অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করে তার বাহিনী। এ পর্যন্ত অর্ধশত মানুষকে অপহরণ করেছ ছলে বাহিনী। ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে অপহৃতদের ছেড়ে দেয় তারা। 

তিনি আরও জানান, ছলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। 

খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ছলে ও তার সহযোগীদের কাছে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র রয়েছে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফ থানা পুলিশের তথ্যমতে, গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন। 

এলাকাবাসীর দাবি, গত সাত মাসে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় ৬০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গা শিশু ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে চার দিন পর শনিবার মুক্তি পেয়েছে। এছাড়া গত সোমবার দুজনসহ মোট ২০ জন মুক্তিপণ ছাড়া ফিরলেও অন্যরা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছেন।

তারেকুর/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়