ঢাকা     বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৬ ১৪৩১

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৬ মে ২০২৩   আপডেট: ১৮:৩০, ৬ মে ২০২৩
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১

মামুন আলম। ফাইল ফটো

নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামুন আলম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ মে) দুপুরে পৌর শহরের সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, শুক্রবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- শহরের বাঁশবাড়ী শহীদ মাহাতাব বেগ লেনের বাসিন্দা মো. জাবেদ ওরফে চঞ্চলের ছেলে জুনায়েদ তৌহিদী (১৯) এবং শহরের নয়াটোলা এলাকার মো. শহিদ আলমের ছেলে মো. মামুন আলম (১৯)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সৈয়দপুরে স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী (১৮)। প্রায় সময় তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল সহপাঠী জুনায়েদ তৌহিদী। কিন্তু কলেজছাত্রী সহপাঠীর দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এতে ওই সহপাঠী কলেজছাত্রীকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে কলেজ ছুটির পর ওই ছাত্রী নিজস্ব প্রাইভেট কারে পার্বতীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। তাকে বহনকারী গাড়িটি বেলা সোয়া তিনটার দিকে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের চেকপোস্ট মোড়ে ব্রিজের কাছে পৌঁছে। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে জুনায়েদ তৌহিদী, মো. মামুন আলমসহ কয়েকজন এসে কলেজছাত্রীকে বহনকারী প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে। এরপর জুনায়েদ তৌহিদী প্রাইভেট কারের পেছনের বাঁ দিকের দরজা লাথি মারে এবং জোরপূর্বক গাড়ির দরজা খুলে টানাহেঁচড়া করে কলেজছাত্রীকে বের করে সড়কে ফেলে দেন। পরে ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে শ্বাসরোধ করার চেষ্টাসহ কলেজ ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলে।

এ সময় গাড়ির চালক মো. শাকিল কলেজছাত্রীকে রক্ষায় এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা তাকেও কিলঘুষি মারে। কলেজছাত্রী নিজেকে রক্ষার জন্য আবার গাড়িতে উঠতে চেষ্টা করলে জুনায়েদ তৌহিদী পুনরায় তাকে টানাহেঁচড়া বাইরে ফেলে দেয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে কলেজছাত্রীর ডান হাতে গুরুতর আঘাত পান। তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে জুনায়েদ তৌহিদী ও মো. মামুন আলমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় প্রাইভেট কারটি ভাঙচুরের অভিযোগও করা হয়েছে।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুন আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

সিথুন/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়