ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

হিলিতে বিদেশি মহিষের খামার

মোসলেম উদ্দিন, দিনাজপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ২ জুন ২০২৩  
হিলিতে বিদেশি মহিষের খামার

দিনাজপুরের হিলিতে বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি জাতের মহিষের খামার গড়ে উঠেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারে বিদেশি মহিষ লালন-পালন করা হচ্ছে।

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা এই খামারটি গড়ে তুলেছেন সুমন সরকার নামের এক ব্যক্তি। তার এই খামারে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতসহ দেশি জাতের ৫২টি মহিষ। এখানে থাকা সর্বনিম্ন মহিষটির দাম তিন লাখ টাকা। সর্বোচ্চ দামের মহিষটির দাম ৩৫ লাখ টাকা।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুমন সরকারের খামারে অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৯টি মহিষ আছে। এগুলো বাচ্চা। ২০২৪ সালের কোরবানি ঈদের জন্য মহিষগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। খামারে ৭ জন শ্রমিক কাজ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারটির দেখাশোনা এবং চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।

আরো পড়ুন:

হিলির রাজধানী মোড়ে সুমনের মহিষের খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারে সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে উন্নত জাতের দেশি-বিদেশি মহিষ। মহিষগুলো মোটা, তরতাজা কালো ও সাদা রঙের। আর মাত্র এক মাস পর কোরবানির ঈদ। এসব কালো জাতের মহিষ ঈদের বাজারে বিক্রি করা হবে। অত্র এলাকায় কোন মহিষের খামার না থাকায় কোরবানির জন্য কেনা এবং এক নজর দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই। 

খামার দেখাশোনার জন্য নিয়োজিত শ্রমিকরা মাসিক বেতন হিসাবে কাজ করছেন। খামারের পাশে রয়েছে ঘাসের ক্ষেত। মহিষগুলোকে ঘাসের পাশাপাশি খড়, ভুষি, খৈল ও ছোলা খাওয়ানো হয়। দিনে প্রতিটি মহিষের পেছনে খরচ বাবদ মালিকের ব্যয় হয় ৫০০ টাকা। আবার একেকজন শ্রমিকের মাসে বেতন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কোরবানিতে মহিষগুলো বাজারজাত করে অধিক মুনাফার আশা করছেন সুমন সরকার। 

শ্রমিক রায়হান বলেন, খামারে মহিষের যত্ন নিতে আমরা কোনো ত্রুটি রাখি না। কোরবানি ঈদ আসতে এখনও কিছু সময় বাকি আছে। আমরা মহিষগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবো। মালিক যাতে লাভবান হন সেভাবে মহিষগুলোর যত্ন নেওয়া হচ্ছে খামারে। 

খামারের মালিক সুমন সরকার বলেন, ‘নিজেকে স্বাবলম্বী করতে মহিষের খামার করেছি। আমার খামারে ৫২টি দেশি-বিদেশি জাতের মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ ৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দাম প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হবে। খামারে আমার দুইটি প্রায় ৩ টন ওজনের মহিষ আছে (প্রতিটির ওজন সাড়ে ৩৭ মণ)। আশা করছি এক একটি মহিষ ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে দাম পাবো। অনলাইনে কেউ যদি মহিষ কেনেন তাহলে আমি মহিষ তার বাড়িতে পৌঁছে দেবো।’

হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোছা. নাছরিন খাতুন বলেন, হিলির রাজধানী মোড়ে বাণিজ্যিক ভাবে একটি মহিষের খামার গড়ে উঠেছে। খামারে ৫২টি দেশি-বিদেশি জাতের মহিষ রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত খামারটি পরিদর্শন করছি এবং মহিষগুলোকে সার্বিক সেবা দিয়ে আসছি। যদি উপজেলায় কেউ মহিষের খামার করতে চান, আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়