অর্ধেক জনবলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিদ্যুতের নলছিটি অফিস
ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
অর্ধেক জনবল নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)'র ঝালকাঠির নলছিটি শাখা অফিস।
ওজোপাডিকোর নলছিটি শাখার অধীনে ২০৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের জন্য বিভিন্ন পদে ১৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ৮ জন।
নতুন নিয়োগ না থাকায় মাত্র ৮ জন জনবল নিয়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। বর্তমানে শাখার অধীনে ১৫ হাজার ২৭১ জন গ্রাহক আছে, যাদের সেবার সুবিধার্থে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র ১ জন।
গ্রাহক মেহেদী হাসান বলেন, ‘দূর্ঘটনারোধে ঝড় বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা চালু করতে তারা অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরি করেন। যার কারণে আমাদের প্রত্যাহিক কাজে অহেতুক বিঘ্ন ঘটে। এ নিয়ে তাদের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও সূরাহা মেলেনি।’
নলছিটি ওজোপাডিকোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী কিশোর ডাকইদার জানান, জনবল সংকট থাকায় অনেক সময় গ্রাহকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেরিতে পাচ্ছেন। ঝড় বৃষ্টির মৌসুমে বিতরণ লাইন নিরাপদ রাখতে অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। সময়মত আশপাশের ডালপালা কেটে দিতে হয়। ট্রান্সমিটারগুলো নিয়মিত চেক করতে হয়। অনেক সময় ঝড় হওয়ার পর পুরো লাইন চেক করে পূনরায় সংযোগ চালু করতে হয়। অন্যথায় দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এই চেকিংএ সময় বেশি লাগলে গ্রাহকরা মনক্ষুন্ন হন। দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোকবল অবশ্যই প্রয়োজন।
আবাসিক প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘জনবল সংকট থাকলেও আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও কিছু অভিযোগ আছে, কারণ ভালোর তো শেষ নেই। শূন্য পদে জনবল থাকলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এসবের সমাধান হয়ে সেবার মান আরও উন্নত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলার জুরকাঠিতে ৩৩/১১ কেভির একটি উপকেন্দ্র আছে। সেখানে ৪ জন সুইচ বোর্ড এ্যাটেন্ডেন্ট থাকার কথা অথচ একজনও নেই। তারপরও আমরা সীমিত লোকবল দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছি। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল পেলে গ্রাহককে আরও ভালো সেবা দেওয়া যাবে। এ ব্যাপারে জেলা কর্মকর্তা কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।’
ঝালকাঠির ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী জুনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে।
অলোক/বকুল