দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ভবন পাচ্ছে ১৫৪ বছরের পুরোনো কক্সবাজার পৌরসভা

প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৫৪ বছর পর প্রথমবারের মতো আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মাল্টিপারপাস বহুতল ভবন পেতে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা। বুধবার (৫ জুলাই) সকালে নতুন এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। 

বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে আরবান ডেভেলপমেন্ট সিটি গভর্নেস প্রজেক্ট (ইউডিসিজিপি) প্রকল্পের আওতায় পৌর ভবনটি নির্মাণে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাওয়া ১২ তলা বিশিষ্ট আধুনিক এ ভবন বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরিই বদলে যাবে পর্যটন নগরীর চেহারা। ভবনের সবগুলো ফ্লোরে পৌরসভার নাগরিক সেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থাকবে। ইতোমধ্যে নতুন পৌর ভবনটির নকশা তৈরী করেছে ইনরেন আর্কিটেকস এন্ড জেডএইচএন এসোসিয়েটস নামের প্রতিষ্ঠান।

ইনরেন আর্কিটেকস এন্ড জেডএইচএন এসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন জাহিদুল ইসলাম খান জানান, আধুনিক স্থাপত্য শৈলী সম্পন্ন চারপাশে সবুজে ভরা একটি গ্রিন বিল্ডিং হবে কক্সবাজার পৌরসভার এই নতুন ভবন৷ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকৃতিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিশেষ করে আশপাশের পরিবেশ এবং প্রতিবেশকে সমুন্নত রেখে আলো ছায়ার খেলা সমৃদ্ধ এই পৌর ভবন টেকসইভাবে নির্মাণ করা হবে।

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার পরাক্রম চাকমা জানান, একটি সিটি করপোরেশন ভবনে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকে তার সবগুলোই থাকবে নতুন পৌর ভবনে। কারণ সারা দেশের ৩৩৯টি পৌরসভার মধ্যে এটি প্রথম শ্রেণির বিশেষ পৌরসভা। 

কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সারোয়ার সালাম জানান, জেলা সদরের এই পৌরসভা দীর্ঘদিনের পুরানো। আধুনিক পৌরভবন নির্মাণ হলে পৌরবাসী অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে না চাইতেই অনেক কিছু দিয়েছেন। আমি তাঁর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমি দীর্ঘ ১৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে জরাজীর্ণ রাস্তাঘাটগুলো টেকসই আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে এখন আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় রূপ দিতে পেরেছি। পৌরবাসীকে উন্নয়ন দিতে পেরে আমি খুবই সন্তুষ্ট। সরকার প্রধানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবার আমি আধুনিক যে পৌরভবনটি করতে যাচ্ছি সেখান থেকে পৌরবাসী স্মার্ট সেবা নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ১৮৬৯ সালে কক্সবাজার পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়।