ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

নুর ও হিরো আলমের উত্থানের নেপথ্যে বিএনপির হাত আছে: আ জ ম নাছির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১২ জুলাই ২০২৩   আপডেট: ১৭:৫৭, ১২ জুলাই ২০২৩
নুর ও হিরো আলমের উত্থানের নেপথ্যে বিএনপির হাত আছে: আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘হিরো আলম বা নুরের মতো তথাকথিত নেতাদের উত্থানে নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করছে বিএনপি। তারা চায় না, দেশ সমৃদ্ধ হোক। তারা রাজনীতিকে ভিন্ন ধারায় পরিচালিত করছে। গুলশান-বনানীতে হিরো আলমের প্রার্থী হওয়া কি স্বাভাবিক? এটা দুঃখজনক।’

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আ জ ম নাছির  বলেন, দেশের রাজনীতিতে আলোচিত ও চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা আছে।

আরো পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি আহ্বান- যা করবেন নিয়ম মেনে করবেন। নির্বাচন বানচাল করার মতো কোনো ইচ্ছা থাকলে সেখান থেকে সরে আসবেন।

আওয়ামী লীগ অনেক বড় সংগঠন উল্লেখ করে আ জ ম নাছির বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন থেকে বিরত আছে। শুধু তা নয়, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি, অতীতের জ্বালাও পোড়াও আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতেও একই পন্থা অবলম্বনের অপচেষ্টায় আছে। 

দেশ ও মানুষের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সহিংস পথ পরিহার করে জাতীয় নির্বাচনে সবাই অংশ নেবেন এ আহ্বান করবো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। বিদেশি প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিক্রিয়া দেবে। এখন আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াইয়ে আছি। সেই লক্ষ্যও অর্জিত হবে।  

সাবেক সিটি মেয়র বলেন, আজ ঢাকায় দুটি সমাবেশ। যতটুকু জানি উনারা (বিএনপি) এক দফার সমাবেশ করবেন। আর আরেকটি শান্তি সমাবেশ। নির্বাচন ঘিরে কোনো সহিংসতা হোক আমরা আন্তরিকভাবে চাই না। ৩৭টি দলকে অনুরোধ করবো, রাজনীতিকে রাজনীতিতেই রাখবেন। কোনো সহিংসতাকে যেন উস্কে দেওয়া না হয়। গতবার সমাবেশের আগে তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল। যেখানে চেয়েছে সেখানে সমাবেশ করেছে। কিন্তু যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর দেওয়াল চিত্র ভেঙে দিয়ে তাদের নিচু মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। সেরকম কিছু চাই না। কেউ নিজে থেকে ভোটে না এলে সেটা তাদের বিষয়। ভোটে পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে যা কিছু সব নির্বাচন কমিশন করবে।  

ভোটারদের ভোটদানে অনাগ্রহ বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সাংগঠনিক সর্বশক্তি দিয়ে প্রত্যেক ভোটারের কাছে ৫-৭ বার করে যেতে চাই। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে।  

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মশিউর রহমান চৌধুরী, চন্দন ধর, শফর আলী, নঈম উদ্দিন আহাম্মদ, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দিন খান, দিদারুল আলম চৌধুরী, জহর লাল হাজারী, ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মনজু, ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা প্রমুখ।

রেজাউল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়