ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, মশা নিধনে নেই পদক্ষেপ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ১৫ জুলাই ২০২৩  
যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, মশা নিধনে নেই পদক্ষেপ 

যশোরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ভাইরাস জনিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরোও ৯ জন। এ নিয়ে যশোরে মশাবাহীত রোগে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৮ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। 

শনবিার (১৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সভিল সার্জন কার্যালয়ের মডিয়া সেল থেকে এতথ্য জানানো হয়েছে।  

এদিকে, যশোরের কয়কেটি উপজেলা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশা নিধনে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে হতাশ এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্টরা দ্রুত তৎপর না হলে ডেঙ্গু আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। 

আরো পড়ুন:

যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের সমীর কর্মকাররে স্ত্রী দোলন র্কমকার (৩৩) এবং বাঘারপাড়া উপজলোর বাসন্দিা আব্দুল গফফার (৬৫)। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা দুইজনই গত ১২ জুলাই যশোর জনোরলে হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল শুক্রবার তারা মারা যান।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বশ্বিাস বলেন, মারা যাওয়া দুইজন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। 

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত যশোরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও অবহিতকরণ সভা করা হচ্ছে।

এদিকে, ডেঙ্গু ঝুঁকিতে থাকা যশোরে মশা নিধনে স্প্রে বা এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে প্রত্যাশিত তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন শহরবাসী। তারা বলছেন, সদর ও অভয়নগর উপজলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশার লার্ভা ধ্বংসে ওই দুই উপজেলায় চালানো হয়নি কোনো বিশেষ অভিযান।  

যশোর শহরের জেল রোড এলাকার বাসন্দিা শিউলি বগেম বলনে, আমাদের এলাকায় এখনো মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। মশার ওষুধ শেষ কবে আমাদরে এলাকায় প্রশাসন দিয়েছে আমরা কেউ বলতে পারি না। 

শহরের স্টেডিয়াম এলাকার বাসন্দিা হাসানুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তির কারণে জানতে পারছি জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এখনো মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম কারো নজরে পড়েনি। 

যশোর পৌরসভার ময়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ জানান, চলতি মাসের শেষে ৯টি ওর্য়াডে একসঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। ডেঙ্গু থেকে পৌরবাসীকে বাঁচাতে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

রিটন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়