চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একদিনে তিনজন আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়াচ্ছে জেলাজুড়ে। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেও ডেঙ্গু পরীক্ষার তাগিদ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। আর এইজন্য ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন। এদের মধ্যে ২০ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। ফলে জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা চিহ্নিত করা হয়েছে এই উপজেলাকে। বাকি চার রোগীর মধ্যে ৩ জন ভোলাহাট ও আরেকজন নাচোল উপজেলার বাসিন্দা।
গত মঙ্গলবার একদিনেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে এ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন পুরুষের পাশাপাশি দেড় বছরের এক শিশুও রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় একটি পুরুষ ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু কর্ণার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসরা বলছেন, এডিস মশা সুন্দর ঘরবাড়িতে বাস করে। ময়লা পানির পরিবর্তে ডিম পাড়ে স্বচ্ছ পানিতে। বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দার ফুলের টবে, ব্যবহৃত ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে জমে থাকা পানিতে, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার কিংবা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। তাই খুব সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোথাও তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি পানি জমা না থাকে। এ সময় সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ আরও বাড়লে জেলা হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হবে, সেই প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ।
সিভিল সার্জন বলেন, জেলা হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স গুলোতে আগে ১০০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নেয়া হতো। সামান্য উপসর্গে দেখা দিলে কম খরচে যেন সাধারণ মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারে সেজন্য ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া জেলা মাসিক কল্যাণ সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে প্রতিটি পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগুলো বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার পরিছন্ন অভিযান চালানো হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে জেলা তথ্য অফিসকে মাইকিং করতে বলা হয়েছে। তারাও জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
শিয়াম/বকুল