ঢাকা     শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

কোটিপতির স্বপ্নে অ্যাপে বিনিয়োগ, রাজশাহীতে মামলা

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ২৩ জুলাই ২০২৩  
কোটিপতির স্বপ্নে অ্যাপে বিনিয়োগ, রাজশাহীতে মামলা

রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভিন্ন অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করে ফাঁদে পড়েছেন হাজারও মানুষ। দ্রুত কোটিপতি হতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে। এ অভিযোগে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন একজন আইনজীবী। আদালত মামলাটি তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তাকে যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে রাজপাড়া থানা, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের একজন করে উপপরিদর্শক (এসআই) কিংবা তদুর্ধ্ব সাইবার বিষয়ে চৌকস তিনজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথভাবে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, পুলিশের তিন সংস্থার তিনজন কর্মকর্তা যৌথভাবে মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দেবেন।

আরো পড়ুন:

মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত। তবে অভিযোগের বর্ণনায় কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, রাজশাহীতে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এমটিএফই নামের একটি অ্যাপ। এ অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করলে দ্রুত কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মানুষের কাছে প্রচার করছে কিছু যুবক। এমটিএফই অ্যাপ অফিস নিয়ে বসেছে নগরীর লক্ষ্মীপুরে। এটি পরিচালনা করেন রাজপাড়া থানা এলাকার সবুজ নামের এক যুবক। তার কথায় অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন অনেকে।

এমটিএফই অ্যাপের প্রচারকারী আরেক যুবকের নাম রুবেল। তার বাড়ি দুর্গাপুর। তিনি রাজশাহী আরডিএ মার্কেটের এক দোকানের কর্মচারী। তিনি রাজশাহীসহ দুর্গাপুরের শতাধিক মানুষকে এমটিএফই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করছেন। অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ২ থেকে ৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তারা প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তবে অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলে দায়ভার কেউ নেবেন না বলে জানাচ্ছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, সম্প্রতি রাজশাহীর ডাশমাড়ি এলাকার সবুজ, লিটন, এখলাসসহ কিছু যুবক আলটিমা উইলেট নামের একটি অ্যাপে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো বিনিয়োগ করেন এলাকার মুনায়েম নামের এক বন্ধুর কথায়। দু-একবার ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন তারা। হঠাৎ অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে বোয়ালিয়া থানায় গত ২৬ জুন সবুজ আলী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগেও রাজশাহীতে ইমুভি প্ল্যান অ্যাপ নামের একটি অ্যাপে মানুষ কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছে। রাজশাহীর নগরীর শিরোইলে ইমুভি প্ল্যান অ্যাপের অফিস খুলে বসেছিলেন মানিক নামের এক যুবক। ওই অ্যাপে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী এলাকার শতাধিক মানুষ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হন। এ নিয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।

কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়