ঢাকা     বুধবার   ১২ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৭ ১৪৩১

হত্যা মামলায় জামিনে এসে প্রথম স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ১ আগস্ট ২০২৩  
হত্যা মামলায় জামিনে এসে প্রথম স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্ত হয়ে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফখরুল ইসলাম (৫৬) নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ পারভীন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি সৈয়দ আনোয়ারুল হক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত ফখরুল ইসলাম সদর উপজেলার ফকিরাকান্দা বয়রা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

মামলার নথির বরাত দিয়ে এপিপি আনোয়ারুল হক বলেন, আসামি ফখরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১৬ আগস্ট তার দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ওরফে তানিয়াকে হত্যা করেন। ওই হত্যা মামলায় ২০০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালত ফখরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই মামলায় নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ (পাগল) দেখিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। জামিনে মুক্তি হওয়ার পর ফখরুল ২০১২ সালের ২৬ মার্চ বিকেলে বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা প্রথম স্ত্রী শিরিনাজ বেগমকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর ফখরুল আবারও নিজেকে অপ্রকৃতিস্থ দাবি করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ফখরুলকে সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০০১ সালের মামলার ঘটনার সময় তিনি অপ্রকৃতিস্থ ছিল বলে দাবি করেন। পরে আদালত তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠান। তবে, ওই হাসপাতালেও তাকে সুস্থ বলে ভর্তি না করে ফেরত পাঠায়।

এপিপি সৈয়দ আনোয়ারুল হক আরও বলেন, যেহেতু, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত অবস্থায় জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি দ্বিতীয় বার একই ধরনের অপরাধ করেছেন তাই ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ৩০৩ ধারায় নির্ধারিত বিধান অনুসারে একমাত্র শাস্তি মৃত্যদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া। আসামিপক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন মোকাম্মেল হক শাকিল।

মিলন/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়