টানা বর্ষণ
কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসের শঙ্কা, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বাড়িঘর নির্মাণ করে হাজারো মানুষ বসবাস করছেন
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রতিদিনই সচেতন করা হচ্ছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫৫ জন অবস্থান করছিলেন। এছাড়া, পাহাড়ে বসবাসকারীদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ৭৭.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া, আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।আগের দিন গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৯৪ মিলিমিটার।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই তথ্য অফিস প্রতিনিয়ত প্রচারণা ও মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে। কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনি এবং আফসারর টিলা নামক এই এলাকাগুলো পাহাড় ধসের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ জন গতকাল শুক্রবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
কাপ্তাই সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসাইন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে তথ্য অফিস নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, কাপ্তাইয়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর অনেক বাসিন্দার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। তারা জানান, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়লে তখনই তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন অনেকেই।
রেজাউল/ মাসুদ